Blog Details

পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের বৈধতা নিয়ে রুল

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদে নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সাথে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারীদের পুনরায় লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট চার জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রবিবার (১৮ ফেব্রয়ারী, ২০২৪) এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

অ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাসে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে  ১ হাজার ৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর। বিজ্ঞপ্তির ৩ বছর পর গত বছরের মে মাসে লিখিত পরীক্ষা শেষে উত্তীর্ণ ৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু এর সাত মাস পর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি সব পরীক্ষা বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর। এতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে নতুন করে আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে।

ফলে সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে তারা উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন।

রিট পিটিশনারগন হলেন, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার আফরোজা খাতুন, সাতক্ষিরা জেলার আশাশুনি উপজেলার, রনি খাতুন, শ্যামনগর উপজেলার গাওত্রি, যশোর জেলার কোতয়ালী থানার বনশ্রী বসু লোপা।