নিয়োগ সংক্রান্ত আবেদন ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে নিস্পত্তির নির্দেশ
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক ভোলা জেলার সদর উপজেলার নাজিউর রহমান কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত আবেদন ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে নিস্পত্তির নির্দেশনা প্রদান করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ভোলা জেলার সদর উপজেলাধীন নাজিউর রহমান কলেজ কর্তৃপক্ষ বিগত ১৪/০৫/২০১৫ ইং তারিখ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। রিট পিটিশনারসহ সর্বমোট আটজন প্রার্থী আবেদন করেন। পরবর্তীতে ২২/০৮/২০১৫ ইং তারিখে নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরীক্ষার সময় ডিজির প্রতিনিধিসহ অন্যান্য সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন। উক্ত পরীক্ষায় আমি উত্তীর্ণ হই। উক্ত পরীক্ষায় তিনজন প্রার্থী অনুপস্থিত ছিল ও একজন প্রার্থী অকৃতকার্য হয়। ০৪ ও ৫নং ক্রমিকের প্রার্থী আপন দুই ভাই। ৫নং ক্রমিকের প্রার্থী মোঃ নাজিম উদ্দিন এর প্রার্থীত বিষয়ে নিবন্ধন ছিলনা। অনিয়মের মাধ্যমে উক্ত মোঃ নাজিম উদ্দিনকে নির্বাচিত করা হয়।
কোন প্রার্থী অযোগ্য বিবেচিত হইলে ধারাবাহিক ভাবে আমাদের নিয়োগে প্রদান করা হবে মর্মে জানানো হয় নির্বাচিত প্রার্থীর এনটিআরসি এর সনদটি শুধুমাত্র বিএম প্রতিষ্ঠানের জন্য হওয়ায় গত ১৭/০১/২০২২ ইং তারিখ পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল তাকে রিজেক্ট করে এবং তিন বার এমপিওর জন্য আবেদন করিলে প্রথম উত্তীর্ণকারীকে রিজেক্ট করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উত্তীর্ণকারীরা সরকারি চাকরীতে যোগদান করে বিধায় উত্তীর্ণ চারজন প্রার্থীদেরদের মধ্যে তিনজনই অযোগ্য হয়। রিট পিটিশনার একমাত্র প্রার্থী চাকরী পাওয়ার হকদার কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন কর্নপাত করেননাই। পরবর্তিতে রিট পিটিশনার নিয়োগের আবেদন করিয়া রিট পিটিশন দায়ের করেন।